মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে দীর্ঘ আট বছর পর প্রথম কোনো লাইভ কনসার্টে অংশ নিলেন বিশ্ব বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার এ আর রহমান। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ঘণ্টা সঙ্গীত পরিবেশন করেন অস্কার জয়ী এই তারকা। ‘ক্রিকেট সেলিব্রেটস মুজিব হান্ড্রেড’ শিরোনামের এই অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা করে দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। আর আয়োজনটি সরাসরি সম্প্রচার করে
বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে রুমানা মালিক মুনমুনের সঞ্চালনায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ‘ক্রিকেট সেলিব্রেটস মুজিব হান্ড্রেড’ কনসার্টের মূল আনুষ্ঠানিকতা। তারপর মঞ্চে আসেন দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ডদল “মাইলস”। পরিবেশন করে চাঁদ তারা সূর্য্ নয়, নীলা, প্রিয়তমা মেঘ, ফিরিয়ে দাও এর মতো জনপ্রিয় সব গান।
এরপর সুর সম্রাজ্ঞী মমতাজের গানে মেতে ওঠে দর্শক। প্রথমেই পরিবেশন করেন স্বাধীনতার ৫০ বছর ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে করা তার একটি গান। একে একে পরিবেশন করেন বাংলা সিনেমার গাওয়া তার জনপ্রিয় কিছু গান।
চৈত্রের বৃষ্টি এক ঘন্টার বিরতিটা দীর্ঘ করলেও মাঠে এতটুকু কমেনি শ্রোতা দর্শকের উপস্থিতি। ততক্ষণে মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হাজির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় সংগীত পরিবেশনা দিয়ে শুরু হয় কনসার্টের দ্বিতীয় অংশের আনুষ্ঠানিকতা। প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আরও একবার মঞ্চে আসেন মমতাজ।
রাত যত বাড়ে মাঠে দর্শকদের উন্মাদনাও তত বাড়ে। কারণ শেষ পরিবেশনা যে সঙ্গীত দুনিয়ায় অপার বিস্ময় এ আর রহমানের!
সুরের এই জাদুকর একে একে পরিবেশন করেন জয় হো, কুন ফায়া কুন, খাজা মেরে খাজা, জয় বাংলা জয় বাংলাদেশের মতো জনপ্রিয় সব গান।
মাঝে এ আর রহমানের খানিক বিরতিতে মঞ্চে আসেন বিখ্যাত পারকিউশনিস্ট ও ড্রামার শিবমনি। বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রে মাতিয়ে তোলেন দর্শকদের।
এছাড়াও গান করেন, আদিত্য নারায়ণ, হরিহরণ, রশিদ আলী। জনপ্রিয় সব গানের সাথে মেতে ওঠেন স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকরা।
কনসার্টে সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ ছিলো জাতির পিতাকে নিয়ে মিউজিক লিজেন্ডের নতুন দুই গান। গানগুলি লিখেছেন বাংলাদেশের জুলফিকার রাসেল।
১০ হাজার দর্শক সরাসরি মাঠে বসে উপভোগ করেন দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় করা এই কনসার্টি।